হাড় ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা

হাড় ব্যথা একটি উপসর্গ মাত্র। ব্যথা কখনও একাকি এবং কখনও অন্যান্য উপসর্গসহ প্রতীয়মান হয়। হাড়ে ব্যথা একজন লোককে চিন্তাগ্রস্ত ও বিষন্ন করে তোলে যা ব্যথা থেকে ভয়াবহ। হাড় ব্যথা মানুষের স্বাভাবিক জীবনের গুনগতমানকে সাংঘাতিকভাবে বাধাগ্রস্ত করে। অধিকাংশ ব্যথা হয় হাড়ের বাহিরের স্নায়ু সংবেদনশীল আবরন (পেরিওসটিয়াম) আক্রান্ত হওয়ার জন্য। পর্যাপ্ত স্নায়ু থাকে বিধায় মেরুদন্ডের হাড়ে (কশেরুকা) সবচেয়ে বেশী ব্যথা হয়। কিছু ক্ষেত্রে হাড়ের গঠন দুর্বল (যেমন, ওসটিওমালাসিয়া) ও হাড় অকেজো (যেমন, ওসটিওনেকরোসিস) হলে হাড়ের ভিতরের আবরণের (এনডোসটিয়াম) উপর চাপ সৃষ্টি হয়। ফলে তীব্র ব্যথার উদ্রেক হয়। বিভিন্ন রোগের কারণে বিভিন্ন হাড়ে…

ছোট শিশুদের দন্তক্ষয় প্রতিরোধে করণীয়

অনেক বাচ্চারই দেখা যায় তাদের উপরের চোয়ালের সামনের দিকের চারটি দাত ক্ষয় হয়ে কালো হয়ে গেছে, কোন কোন ক্ষেত্রে তা ভেঙ্গে গেছে। এই অবস্থার জন্য দায়ী বিশেষ এক ধরনের দন্তক্ষয়, যার নাম Nursing Bottle Caries. কখন হয়? সাধারণত জন্মের পর এক বছরের মধ্যেই বাচ্চার সামনের দিকের দাত উঠে। ঐ বয়স থেকেই এটা হতে পারে। সাধারনত ২-৫ বছরের বাচ্চাদের এটা দেখা যায়। কাদের হয়? যে সকল বাচ্চা বটল ফিড করে বা ফিডারে খায় এবং রাতে ঘুমের মধ্যে যে সকল বাচ্চার ফিডারে খাওয়ার অভ্যাস আছে, তাদের এটা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। অনেক…

হাড়ের ক্ষয় : প্রতিকার ও চিকিৎসা

হাড়ের ক্ষয় রোগ একটি নীরব ঘাতক যা মানুষকে আস্তে আস্তে ক্ষতিগ্রস্ত ও পঙ্গু করে এবং মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। তীব্র ব্যথা, বেঁকে যাওয়া এবং হাড় ভাঙা না হওয়া পর্যন্ত লোক বুঝতে পারে না সে মরণ ব্যাধি হাড়ের ক্ষয় রোগে ভুগছে। প্রাথমিকভাবে কোন সুনির্দিস্ট চিহ্ন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে নীরবে এ রোগ শরীরে থাকে। মানব শরীরে ২০৬ টি হাড় থাকে এবং প্রতিটি হাড় ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম ও অন্যান্য লবন, ভিটামিন, আমিষ এবং কোলাজেন দিয়ে তৈরী হয়। হিসাবে দেখা যায়, ৪০% ব্যক্তির হাড়ের পরিমান বা ঘনত্ব বংশানুক্রমিকভাবে নির্ধারিত হয় এবং ২০% ব্যক্তির হাড়ের…

হাঁটু বেঁকে গেলে করণীয়

শিশু ও বয়স্ক উভয়ই বাঁকা হাটু ও লেগ এ আক্রান্ত হতে পারে । অনেকই এ সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের শরনাপন্ন হন । প্রায়ই পিতা মাতা জানতে চায়, তাদের বাচ্চাদের হাঁটু ও ল্যাগ কি স্বাভাবিক ? অনেক পিতা মাতা সরাসরি বলে তাদের বাচ্চাদের হাঁটু ও লেগ বাঁকা । বাঁকা (বো) একটি টেকনিক্যাল শব্দ যা একটি শিশুর স্বাভবিক বৃদ্ধির অংশ । তবে চিকিৎসক হিসাবে সম্যক জ্ঞান থাকা একান্ত প্রয়োজন কোনটা স্বাভাবিক (ফিজিওলোজিক) বৃদ্ধির অংশ এবং কোনটা রোগের (প্যাথলোজিক) কারণে হয়েছে । হাঁটু ভিতরের দিকে বাঁকা হলে একে জেনু ভেরাস বলে এবং বাহিরের দিকে…

বয়স্কদের হাড় ও জোড়ার সমস্যা

প্রকৃতির নিয়মেই বয়ো:বৃদ্ধির সাথে সাথে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে বিভিন্ন রোগ দেখা দেয় । হাড় ও জোড়া এর থেকে ব্যতিক্রম নয় । বয়ো:বৃদ্ধির সাথে হাড় ও জোড়ায় বিভিন্ন রোগের উপসর্গ দেখা দেয় । মানব শরীরে ২০৬ টি হাড়ের সমন্বয়ে ১৪৭ টি ছোট বড় জোড়া ক্সতরী হয় । হাড় ও জোড়ার বিভিন্ন রোগের কারণে বয়োবৃদ্বিকালে মানুষ অধিকতর কাবু হয় এবং যন্ত্রনায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে । পুরুষের তুলনায় মহিলারা কিছুটা আগে ভাগেই হাড় ও জোড়ার সমস্যায় আক্রান্ত হয় । পুরুষরা সাধারনত ৪০ বৎসর এবং মহিলারা ৩৫ বৎসর বয়সে হাড় ও জোড়ার রোগে ভোগে…

পা জ্বালাপোড়ায় করণীয়

”বার্নিং ফুট সিনড্রোম” হলো পা জ্বালাপোড়া ও অতিরিক্ত ভার এ ধরনের এক অনুভূতি । এ সমস্যায় যে কেউ ভুগতে পারে । তবে ২০ থেকে ৪০ বৎসর বয়সে এবং ৫০ বৎসরের উর্ধ্বে যে কেউ এ রোগে আক্রান্ত হয় । পুরুষের তুলনায় মহিলারা বেশী ভোগে। পায়ের তলা ছাড়াও গোড়ালি, পায়ের উপরিভাগ ও লেগে জ্বালাপোড়া ও ব্যথা হতে পারে । অনেক সময় পায়ের রং পরিবর্তন হয়, অতিরিক্ত ঘাম হয় এবং পা ফুলে যায় । চাপ প্রয়োগ করলে কোন ব্যথা অনুভূত হয় না । মাঝে মাঝে অস্বাভাবিক অনুভূতি ও অবশভাব হয় । জ্বালা ও…

হাঁটুর মেনিসকাস ইনজুরি এবং চিকিৎসা

মেনিসকাস বা তরুনাস্থি বা কার্টিলেজ হলো নরম হাড় যা শরীরের বিভিন্ন  শক্ত হাড়ের  সাথে যুক্ত থাকে এবং জোড়ার মধ্যখানে অবস্থান করে। হাটুর জোড়ায় দুই হাড়ের মাঝখানে দুইটি মেনিসকাস থাকে। একটি মেনিসকাস হাঁটুর জোড়ার বাহির পার্শ্বে থাকে এবং অপরটি হাঁটুর জোড়ার ভিতর পার্শ্বে থাকে। আকৃতিতে মেনিসকাস বা তরুনাস্থি  ইংরেজী অক্ষর সি বা ক্রিসেন্ট এর মত। এই আকৃতির জন্য হাঁটুর জোড়ায় সহজেই নড়াচড়া হয় এবং দূঢ় অবস্থা বজায় থাকে। মেনিসকাসের বাহিরের অংশে রক্তের প্রবাহ থাকে তাই ইনজুরি হলে জোড়া লাগে কিন্তু ভিতরের অংশে রক্তের প্রবাহ নাই বলে ইনজুরি হলে জোড়া লাগে না…

হাঁটুর লিগামেন্ট ইনজুরি ও চিকিৎসা

বাস্তব সত্য যে, জীবনের কোন না কোন সময় যে কেউ হাঁটু আঘাতে ভোগে। হাঁটু এমন একটি জটিল এবং গুরুত্বপূর্ন জোড়া যা বসতে, দাঁড়াতে, হাঁটতে, দৌড়াতে, উপরে উঠতে এবং নামতে একান্ত প্রয়োজন। শরীরের বড় ও ওজন বহনকারী জোড়াগুলির মধ্যে হাঁটু অন্যতম। হাঁটু জোড়া তিন হাড়ের সমন্বয়ে গঠিত । হাঁটুতে চারটি প্রধান লিগামেন্ট ও দুইটি মেনিসকাস (তরুনাস্থি) থাকে। লিগামেন্ট হলো ফাইব্রাস টিসু যা এক হাড়কে অন্য হাড়ের সাথে যুক্ত করে, জোড়ায় শক্তি প্রদান করে, হাড়ের নড়াচড়ায় সহায়তা করে এবং জোড়ার স্থিতিশীলতা বজায় রাখে। মেনিসকাস শরীরের ওজন সমভাবে উরুর হাড় থেকে পায়ের হাড়ে…

ডেঙ্গুর লক্ষণ ও প্রতিরোধে করণীয়

ডেঙ্গু জ্বর কী? ডেঙ্গু জ্বর হল একটি মশা বাহিত ভাইরাসজনিত জ্বর যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই মশা সাধারণত ভোরবেলা ও সন্ধ্যার পূর্বে কামড়ায়। এই রোগটি সাধারণত হালকা হলেও এটি মারাত্মক হতে পারে। যেভাবে ছড়ায় এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে সচরাচর ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলো দেখা দেয়। এবার ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো ভাইরাসবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশা ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাসবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে। জ্বরের লক্ষণসমূহ সাধারণভাবে ডেঙ্গুর লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২ ডিগ্রি…

জেনে নিন কোলেস্টেরল কি? এবং নিয়ন্ত্রণে কি করনীয়?

রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে আপনার হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। তবে খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ, জীবনযাপন পদ্ধতিতে পরিবর্তন ও ওষুধের মাধ্যমে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। কোলেস্টেরল কি? কোলেস্টেরল এক ধরনের চর্বি। আমরা যখন চর্বিজাতীয় খাবার খাই, তখন আমাদের যকৃতে এই কোলেস্টেরল তৈরি হয় এবং রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে আমাদের দেহের সমস্ত রক্তনালিতে ছড়িয়ে পড়ে। এটি শরীরের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে। যেমন : হরমোন তৈরিতে।  ‘ভাল’ এবং ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডস(রক্তের অন্য গুরুত্বপূর্ণ ​​চর্বি) লিপোপ্রোটিন নামক প্রোটিন দ্বারা রক্ত ​​প্রবাহের মাধ্যমে সারা শরীরে বাহিত হয়। বিভিন্ন…